নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে নায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয়ের নামে ফটোসেশন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার প্রানি সম্পদ দফতরের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, উপজেলা প্রানি সম্পদ দফতরের ব্যবস্থাপনায় প্রানি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় করোনকালীন সময়ে জনসাধারণের প্রানিজ পুষ্টি নিশ্চিত করনে ১০ দিনের একটি প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী যে সমস্ত খামারীরা করোনাকালীন সময় দুধ,ডিম ও মাংস বিক্রি করার জন্য ঘরের বাহিরে যেতে পারছেন না তাদের কাছ থেকে ডিম, দূধ ও মাংস সংগ্রহ করে প্রানিজ পুষ্টি নিশ্চিতকরনে ক্রেতা সাধারণের মাঝে তা নায্যমূল্যে বিক্রি করার কথা রয়েছে। কিন্তু প্রনিজ সম্পদ অফিসের লোকজন ওই নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার পাবলিক মাঠের পূর্ব পার্শ্বে এক মুরগী বিক্রেতার সংগ্রহীত মুরগীর ভ্যানে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রয় কেন্দ্র নামে একটি ব্যানার টানিয়ে এবং সেখানের মুরগী দোকানিরদের কাছ থেকে মুরগী ক্রয় করা ক্রেতাদের দাড় করিয়ে ফটোসেশন করে চলে যায়। এতে স্থানীয় মুরগী ব্যবসায়িরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উপজেলার পাবলিক মাঠের পূর্ব পার্শ্বে মুরগী ব্যবসায়ি মো. ইলিয়াস হোসেনসহ একাধিক মুরগী ব্যবসায়ী জানান, ব্যানারে লেখা ডিম, দুধ ও মাংস বিক্রয় কেন্দ্র। অথচ তারা কোন ডিম,দুধ ও মাংস সংগ্রহ বা বিক্রয় করেননি। আমাদের বিক্রিত কিছু ক্রেতাকে ব্যানারের সামনে দাড় করিয়ে ছবি তুলে নিয়েছেন প্রনিজ সম্পদ অফিসের লোকেরা। ব্যানারের সাথে প্রানিজ সম্পদ অফিসের লোকজনের কাজের কোন মিল না থাকায় আমাদের ব্যবসায়িদের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে বলে মনে করছি। উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্তকর্তা ডাঃ মো. হাফিজুর রহমান প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক আমরা খামারীদের সহোযোগিতা করে যাচ্ছি।
Leave a Reply